সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০০ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
শারীরিক সম্পর্কের পর পালাতে গিয়ে কিশোরীর হাতে আটকা পুলিশ সদস্য

শারীরিক সম্পর্কের পর পালাতে গিয়ে কিশোরীর হাতে আটকা পুলিশ সদস্য

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা পড়ুয়া প্রেমিকার (১৫) সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন মো. ইজাদুল হক ওরফে রতন (২১) নামে এক পুলিশ সদস্য। উপস্থিত বুদ্ধির জোরে বিষয়টি বুঝতে পারে ওই কিশোরী। পরে রতনকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার শুরু করে সে। বাড়ির লোকজন আওয়াজ শুনতে পেয়ে তার ঘরে এসে রতনকে আটকে ফেলে। তাদের খবরে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের বৃ-দেবস্থান গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য সামছুল হক ও মো. ইস্রাফিল হোসেন সেখানে এসে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু রতনের কিছু সহযোগী সেখানে এসে হামলা করে।

হামলার ঘটনায় দুই ইউপি সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন। এ সংবাদ পেয়ে স্থানীয় রাজিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোতাব্বিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ সদস্যরা এসে মো. ইজাদুল হক ওরফে রতনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। পরে রতনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।

গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্য মো. ইজাদুল হক ওরফে রতন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে। ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানা গেছে, একটি ভুল নম্বরে কলের কারণে রতনের সঙ্গে কিশোরীরর পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তারা প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। রতন গাজীপুরের মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরিরত। এক মাস আগে তিনি বাড়িতে ছুটিতে আসেন। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার রতন তার প্রেমিকার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে সন্ধ্যার পর তার বাড়িতে যান। সেখানে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন।

কী হয়েছিল
ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে রতন তাকে কল করে ঘরের বাইরে আসতে বলেন। রাত ৮টার দিকে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখান। বৃহস্পতিবার বিয়ে করবেন কথা দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চান। কিশোরী প্রথমে রাজি না হলেও রতনের অভিমান ও ভালোবাসার জোরের উপর রাজি হয়। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পর রতন চলে যেতে চাইলে ভুক্তভোগী তাকে বিয়ের ব্যাপারে প্রশ্ন করে। এ সময় রতন ‘এখনই বিয়ে করলে চাকরির সমস্যা হবে’ বলে জানিয়ে এক বছর পরে বিয়ের আশ্বাস দেখায়। রতন প্রতারণা করছেন বুঝতে পেরে ওই মাদ্রাসাছাত্রী তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার শুরু করে। এ সময় তার পরিবারের লোকজন রতনকে আটকে ফেলে।

পরে কিশোরীর পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানান বৃ-দেবস্থান গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য সামছুল হক ও মো. ইস্রাফিল হোসেনকে। তারা বিষয়টি সুরাহা করার প্রস্তুতি নিলে রতন তার কয়েকজন সহযোগীকে সেখানে ডাকেন। আলোচনার এক পর্যায়ে রতনের সহযোগীরা উপস্থিত সকলের উপর হামলা করে। এতে সামছুল হক ও মো. ইস্রাফিল হোসেনসহ পাঁচজন আহত হন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রাজিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোতাব্বিরুল ইসলাম। তিনি হামলার ঘটনা ও পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য পুলিশে খবর দেন। ঈশ্বরগঞ্জ থানা থেকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে রতনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

চেয়ারম্যান মোতাব্বিরুল ইসলাম বলেন, ‘হামলা কথা শুনে ঘটনাস্থলে এসেই আমি পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি। পরে সামছুল হক ও মো. ইস্রাফিল হোসেনের কাছে সবকিছু শুনে পুলিশে খবর দেই। তারা দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। আটক পুলিশ সদস্যকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মেয়ের বাবা একটি মামলাও করেছেন।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আটক রতনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত জারি আছে। ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে তার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com